পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী  প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক সাধারন সম্পাদক প্রার্থীর নেতৃত্বে বাস মালিক সমিতির সদস্যদের উপর হামরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই বাস মালিক আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাদেরকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পরই হাসপাতালে ছুটে যান বাস মালিক সমিতির অন্যান্য সদস্যরা। এ ঘটনায় পটুয়াখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বাস মালিক সমিতি সুত্র জানায়,বাস মালিক সমিতির নির্বাচনের আজ ২৫ সেপ্টেন্বর ছিলো আপিল শুনানী। বিকেল তিনটা থেকে আপীল বোর্ডের প্রধান সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে শুনানীর জন্য উপস্থিত হন উভয় পক্ষের নেতৃবৃন্দ। শুনানী শেষে রিযাজ মৃধা-নেসার গাজী প্যানেলের সমর্থক শাহাবুদ্দিন ও মাহবুব আলম কক্ষের বাইরে বের হলে প্রতিদ্বন্দী প্যানেলের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী শামীম মৃধার নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত অন্যান্য মালিকরা তাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপাতালের বেডে আহত মালিক সমিতির সদস্য শাহাবুদ্দিন সাংবাদিকদের জানান,নিয়মতান্ত্রিকভাবে তারা আপলি বোর্ডের প্রধাননের কাছে কিছু সদস্যের বিষয়ে আপত্তি দিয়েছেন। তারা কিভাবে,কোন গাড়ির মালিকানার মুলে মালিক সমিতির সদস্য হয়েছেন তা জানাতে চেয়েছেন। তারা কেন এ আপত্তি দিয়েছেন সেই অপরাধে কোন উষ্কানী ছাড়াই সাধারন  সম্পাদক প্রার্থী এবং সাবেক সড়ক পরিবহন সম্পাদক তার উপরে হামলা করে। এসময় তার সাথে বহিরাগত একাধীক লোক ছিলো। এ বিষয়ে আইনী পদক্ষে গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

সাধারন সম্পাদক প্রার্থী নেসার  গাজী সাংবাদিকদের জানান,একটি সুষ্ঠু,সুন্দর পরিবেশ ঘোলা করার জন্য এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পরিকল্পিত এ হামলার মাধ্যমে তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। দোষ দের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শামীম মৃধাকে একাধীকবাার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

জেলা বাস মালিক সমিতির প্রশাসক,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রে নুরুল হাফিজ সাংবাদকিদের জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা